Bengali writer

হুমায়ুন আহমেদ: বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি সাহিত্যিক – Best 350+PDF

হুমায়ুন আহমেদ humayun ahmed books pdf

Table of Contents

হুমায়ুন আহমেদ: বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি সাহিত্যিক

হুমায়ুন আহমেদ ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় নাম। তার লেখনী, চলচ্চিত্র নির্মাণ, এবং ব্যক্তিগত জীবন আমাদের সাহিত্যের ঐতিহ্যে এক অনন্য স্থান দখল করেছে। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি তার অবদানকে ভুলে যাওয়া যাবে না। তিনি শুধু একজন সাহিত্যিকই ছিলেন না, বরং বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিলেন। তার রচনায় উঠে আসে মানবিক মূল্যবোধ, অনুভূতির গভীরতা এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের চিত্র।

হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্যকর্ম:

হুমায়ুন আহমেদের লেখা উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক ও কবিতা বাংলা সাহিত্যে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে নিয়েছে। তার সবচেয়ে পরিচিত কাজগুলো হলো নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, এবং মধ্যাহ্ন। এই উপন্যাসগুলোতে তিনি সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার পাশাপাশি মানবিক সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরেছেন।

হুমায়ুন আহমেদ চলচ্চিত্র:

হুমায়ুন আহমেদ শুধু সাহিত্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না, তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসেও এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার পরিচালিত চলচ্চিত্র আগুনের পরশমণি, শ্রাবণ মেঘের দিন, দারুচিনি দ্বীপ আজও দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। তার সিনেমাগুলি সাধারণ মানুষের জীবনধারা এবং তাদের অনুভূতিকে অত্যন্ত যত্নসহকারে তুলে ধরেছিল।

হুমায়ুন আহমেদ: ব্যক্তি জীবনের আলোকে

হুমায়ুন আহমেদ তার ব্যক্তিগত জীবনও বেশ আলোচিত ছিল। তার প্রেক্ষাপট, পরিবার, এবং সাহিত্যিক জীবনের বিবরণও পাঠকদের কাছে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ মানুষ, যার জীবন এবং সাহিত্য কর্ম একে অপরকে প্রভাবিত করেছে।

সামাজিক প্রভাব উত্তরাধিকার

হুমায়ুন আহমেদ আজও আমাদের মধ্যে বেঁচে আছেন তার অসাধারণ লেখনীর মাধ্যমে। তার রচনা এবং চলচ্চিত্র আজও নতুন প্রজন্মকে প্রভাবিত করছে। তার কাজের মধ্যে রয়েছে বাংলা সংস্কৃতির প্রতি গভীর প্রেম এবং মানুষিক গভীরতা। তার সাহিত্যকর্মের সাথে যুক্ত মানুষের জীবনে সৃষ্ট প্রভাব আমাদের সমাজে আজও প্রতিফলিত হচ্ছে।

. হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্যিক জীবন

হুমায়ুন আহমেদ: লেখালেখির শুরু

হুমায়ুন আহমেদের লেখালেখির শুরু হয়েছিল ১৯৭০-এর দশকে। তার প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে, যা একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। তিনি তার সাহিত্যিক জীবনে কল্পনার জগৎ ও বাস্তবের মিশ্রণে এক বিশেষ শৈলী তৈরি করেছিলেন। তার লেখার ভাষা ছিল সহজ, সরল, এবং খুবই সঠিক। তার উপন্যাসগুলোতে মিষ্টি প্রেমের গল্প, পারিবারিক সম্পর্ক, এবং সমাজের নানা সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছিল।

বিখ্যাত উপন্যাস:

  • নন্দিত নরকে” (১৯৭২): হুমায়ুন আহমেদের প্রথম উপন্যাস, যা তখনকার সমাজের চিত্র এবং পারিবারিক সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে আলোচনা করে। এতে জীবনযাত্রার নানা স্তরের ছবি তুলে ধরা হয়েছে।
  • শঙ্খনীল কারাগার” (১৯৭৯): এ উপন্যাসটি তার সাহিত্যিক সেরা কাজগুলোর মধ্যে একটি। এতে লেখক জীবনের কঠিন সংগ্রাম এবং মানুষের ভিতরকার ভয়াবহ দুঃখের চিত্রায়ন করেছেন।
  • মধ্যাহ্ন” (১৯৮৭): এই উপন্যাসটি বাংলার উপন্যাসের এক নতুন ধারার জন্ম দেয়। এতে হুমায়ুন আহমেদ উপন্যাসের মাধ্যমে সম্পর্ক, প্রেম, আশা এবং নিরাশার সূক্ষ্ম বিবরণ দিয়েছেন।

হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্যিক শৈলী:

হুমায়ুন আহমেদ লেখায় সোজাসাপ্টা ভাষার ব্যবহার করতেন, যা পাঠককে সহজে আকৃষ্ট করত। তার লেখায় অবাস্তবতার ছোঁয়া ছিল, কিন্তু তা বাস্তবতাকে একেবারে অস্বীকার করত না। তার গল্পের মধ্যে হালকা রহস্য এবং চরিত্রের গভীরতা ছিল, যা একে অন্যদের থেকে আলাদা করে। তার সৃষ্টি ছিল মানবিকতা, প্রেম, এবং গভীর অনুভূতির অমলিন প্রতিচ্ছবি।

. হুমায়ুন আহমেদ চলচ্চিত্র

চলচ্চিত্রে হুমায়ুন আহমেদের অবদান

হুমায়ুন আহমেদ শুধু লেখক ছিলেন না, তিনি একজন সফল চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং নির্দেশকও ছিলেন। বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম অন্যতম অগ্রগণ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাকে মনে করা হয়। তার চলচ্চিত্রে জীবনের নানান দিক, পারিবারিক সম্পর্ক, সমাজের সমস্যা এবং মানুষের মনের অনুভূতি সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছিল।

প্রথম চলচ্চিত্র: আগুনের পরশমণি (১৯৯৪)

হুমায়ুন আহমেদের প্রথম চলচ্চিত্র “আগুনের পরশমণি” ছিল বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন যুগের সূচনা। এটি মানুষের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। ছবিটি ছিল এক সামাজিক বাস্তবতা নির্ভর, তবে তার মধ্যে রোমান্টিক উপাদান ছিল।

শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯)

“শ্রাবণ মেঘের দিন” ছিল তার অন্যতম সেরা সিনেমা, যা একটি সমসাময়িক প্রেম কাহিনী ও সমাজের বাস্তব চিত্র উপস্থাপন করেছিল। এই চলচ্চিত্রটি দর্শকদের মধ্যে গভীর আবেগ এবং অনুভূতি সৃষ্টি করেছিল, যা বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন ধারার উদ্ভব ঘটায়।

দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭)

“দারুচিনি দ্বীপ” তার অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র, যা একেবারে অন্যরকম গল্প ও চিত্রায়ন নিয়ে তৈরি হয়েছিল। এটি একটি সুন্দর গল্পের মাধ্যমে জীবনের নানা সংকট ও উত্তরণের কথা বলে, যা দর্শকদের মনে দাগ কেটে যায়।

. হুমায়ুন আহমেদের ব্যক্তিগত জীবন

পারিবারিক জীবন সম্পর্ক

হুমায়ুন আহমেদের ব্যক্তিগত জীবন ছিল অনেকটাই আলোচিত। তার জীবনযাত্রা, বিয়ে, এবং সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন সময় সংবাদপত্রে আলোচনা হয়েছে। প্রথমে তিনি মেহের আফরোজ শাওন-কে বিয়ে করেন, এবং তাদের দুইটি সন্তান ছিল। পরে তিনি গ্লোরিয়া সিকদার-এর সাথে নতুন জীবন শুরু করেন।

প্রথম দিকের জীবন সংগ্রাম

হুমায়ুন আহমেদের শৈশব ছিল বেশ কঠিন। তিনি নিজের জীবনের নানা সমস্যার সাথে লড়াই করে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তার লেখা এবং চলচ্চিত্রে সেই সংগ্রামের প্রতিফলন স্পষ্ট।

শিল্পী হিসেবে তার অবদান

হুমায়ুন আহমেদ ছিলেন কেবল একজন সাহিত্যিক বা চলচ্চিত্র নির্মাতা নন, তিনি ছিলেন একজন শিল্পী, যার হাত ধরে বাংলা সাহিত্য ও চলচ্চিত্র নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল। তার চিন্তাভাবনা এবং জীবনদৃষ্টি আজও আমাদের মাঝে জীবিত আছে।

. হুমায়ুন আহমেদের প্রভাব উত্তরাধিকার

বাংলা সাহিত্যে স্থায়ী প্রভাব

হুমায়ুন আহমেদ তার সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যকে এক নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিয়েছেন। তার কাজের মধ্যে ছিল জীবনের নানা দিক, যা পাঠকদের মনে গভীর রেখাপাত করেছে। তার বই এবং সিনেমা আজও নতুন প্রজন্মের মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেলে।

নতুন প্রজন্মের জন্য প্রেরণা

হুমায়ুন আহমেদ নতুন প্রজন্মকে তার সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রেরণা দিয়েছেন। তার সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে মানবিক মূল্যবোধ, সম্পর্কের গুরুত্ব, এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার চিত্র। তার কাজের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে তার অবদান অনস্বীকার্য হয়ে উঠেছে।

. হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্যিক প্রভাব

বাংলা সাহিত্যের নতুন অধ্যায়

হুমায়ুন আহমেদ বাংলা সাহিত্যকে একটি নতুন দিগন্তের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার লেখা শুধু সাহিত্যিকদেরই প্রভাবিত করেনি, বরং সাধারণ পাঠক সমাজের মধ্যে সাহিত্যচর্চার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তার লেখার সহজ ভাষা, অনুভূতির গভীরতা এবং চরিত্রের মনস্তত্ত্বের শৈল্পিক চিত্রায়ণ নতুন প্রজন্মের লেখকদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হুমায়ুন আহমেদ এমনভাবে সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন যে, তার রচনা সহজেই পাঠকের মনের গভীরে পৌঁছায়। তার উপন্যাসে প্রেম, সম্পর্ক, মানুষের অন্তর্গত দ্বন্দ্ব এবং সামাজিক কাঠামোর সমস্যা প্রবাহিত হয়েছে। এমনকি তার অনেক চরিত্র মনে হতে পারে সাধারণ, তবে তারা আমাদের জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে।

লেখালেখির বিষয়বস্তু এবং গল্পের গঠন

হুমায়ুন আহমেদের গল্পের কাঠামো ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়। তিনি খুবই মানবিক, হৃদয়গ্রাহী এবং বাস্তবিক চরিত্র তৈরি করতেন, যা পাঠককে তার সঙ্গে একাত্ম হয়ে উঠতে বাধ্য করত। তার লেখার মধ্যে এক ধরনের মায়া ছিল, যা পাঠককে ভাবতে বাধ্য করত। তার উপন্যাসের বিষয়বস্তু সাধারণত সামাজিক সমস্যা, মানসিক উদ্বেগ, প্রেমের জটিলতা, এবং সম্পর্কের টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হত।

হুমায়ুন আহমেদের প্রভাবিত কাহিনীগুলির কিছু উদাহরণ:

  • নন্দিত নরকে – এতে কাহিনী গড়ে উঠেছিল একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সমস্যা ও সম্পর্কের গাঁথুনি নিয়ে। এটি ছিল হুমায়ুন আহমেদের প্রথম উপন্যাস, যা বাংলা সাহিত্যে এক নতুন ধারার সূচনা করেছিল।
  • শঙ্খনীল কারাগার – এই উপন্যাসে মানবিক দিকগুলো, বিশেষ করে একদম নতুন ধরনের চরিত্রের আবির্ভাব হয়েছিল, যা পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
  • মধ্যাহ্ন – এ উপন্যাসে প্রেম, সম্পর্ক এবং সামাজিক বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছিল, যা পাঠকদের কাঁদিয়ে এবং ভাবিয়ে তোলে।

. বাংলা চলচ্চিত্রের ওপর হুমায়ুন আহমেদের প্রভাব

বাংলা চলচ্চিত্রের দিকনির্দেশনা

হুমায়ুন আহমেদ বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে অনেক নতুনত্ব নিয়ে আসেন। তার সিনেমাগুলি কেবলমাত্র বিনোদন নয়, বরং একটি সামাজিক বার্তা, মানবিকতা এবং মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে দর্শকদের ভাবতে বাধ্য করেছিল। তার চলচ্চিত্রে কাহিনীর গঠন ছিল সুস্পষ্ট, চরিত্রগুলো ছিল বাস্তবিক, এবং অভিনয় ছিল অত্যন্ত প্রাঞ্জল।

হুমায়ুন আহমেদের চলচ্চিত্রের ধরণ:

  • আগুনের পরশমণি” (১৯৯৪) – এটি ছিল একটি সমসাময়িক বাংলা চলচ্চিত্র, যা সেদিনের দর্শকদের মধ্যে গভীর আবেগ সৃষ্টি করেছিল। তার চলচ্চিত্রে বাস্তবতার অনুপ্রবেশ এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ছিল এক নতুন ভাবনায় উপস্থাপিত।
  • শ্রাবণ মেঘের দিন” (১৯৯৯) – এই ছবিটি দর্শকদের মাঝে আবেগ এবং অনুভূতির গভীরতা ছুঁতে সক্ষম হয়েছিল। এটি ছিল একটি প্রেমের গল্প, যা মেলানকোলি ও রোমান্সের এক চমৎকার মিশ্রণ।
  • দারুচিনি দ্বীপ” (২০০৭) – এটি একটি অদ্ভুতভাবে সুন্দর চলচ্চিত্র, যা সাহিত্যিক এবং দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল।

. হুমায়ুন আহমেদের সামাজিক অবদান

সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিকতা

হুমায়ুন আহমেদ শুধু সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নয়, তার লেখার মধ্য দিয়ে মানুষের চিন্তাধারা পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছিলেন। তার গল্পে যেখানে কখনও প্রেমের আবেগ, কখনও জীবনযুদ্ধের কঠিন পথ, কখনও আবার সমাজের সমস্যা উত্থাপিত হয়েছে, সেখানে তিনি মানবিক মূল্যবোধ এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেছেন।

সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা

তার লেখা কেবল কল্পনার জগতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং সমাজের বাস্তব সমস্যা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের বিষয়েও ছিল সচেতনতা। তার উপন্যাস এবং চলচ্চিত্রে পারিবারিক সহিংসতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সমাজের নিম্নস্তরের মানুষের অবস্থা এবং অপরাধবোধের প্রতি তার আলোকপাত ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

. হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যু এবং তার উত্তরাধিকার

হুমায়ুন আহমেদের অকাল মৃত্যু

হুমায়ুন আহমেদ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মারা যান, যা বাংলা সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রের জগতে এক গভীর শোকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক অমর কিংবদন্তি, এবং তার মৃত্যু বাংলার সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে আসে। তবে তার সৃষ্টিকর্ম, তার লেখা, চলচ্চিত্র এবং তার অবদান আজও জীবিত রয়েছে।

উত্তরাধিকার:

হুমায়ুন আহমেদের লেখার মধ্যে ছিল এমন একটি শক্তি, যা যুগে যুগে পাঠকদের মনের গভীরে স্থান করে নিয়েছে। তার সৃষ্টির মধ্যে তিনি বাংলা সাহিত্যকে একটি নির্দিষ্ট ধারা দিয়েছেন, যা নতুন লেখকদের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে। তার লেখা আজও মানুষকে ভাবিয়ে তোলে, একইভাবে তার চলচ্চিত্রও আজও দর্শকদের হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে।

আজকের দিনে, তার সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রের উত্তরাধিকার নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি মহান উৎস হিসেবে পরিগণিত হবে।

. হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্যিক উত্তরাধিকার

নতুন প্রজন্মের কাছে হুমায়ুন আহমেদ:

হুমায়ুন আহমেদ তার সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে যে বিশাল উত্তরাধিকার রেখে গেছেন, তা আজও নতুন প্রজন্মের কাছে প্রভাব বিস্তার করছে। তার লেখা উপন্যাস, গল্প, এবং নাটক তরুণ লেখকদের মধ্যে সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করছে। তার কাজের মধ্যে মানবিকতা, সহজ ভাষা, এবং সম্পর্কের জটিলতাকে তুলে ধরার যে অনন্য দক্ষতা ছিল, তা আজও বহু লেখকের কাজের অনুপ্রেরণা।

তার রচনায়, বিশেষত নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, এবং মধ্যাহ্ন, তিনি এমন এক শৈলী সৃষ্টি করেছিলেন, যেখানে সাধারণ মানুষের জীবন, তাদের প্রেম, সংগ্রাম, এবং সম্পর্কের গতি অত্যন্ত বাস্তবিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তার গল্পের মধ্যে যে মানবিক গভীরতা ছিল, তা পাঠককে ভাবতে বাধ্য করত এবং বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করত।

কিভাবে তার সাহিত্যিক শৈলী অনুকরণীয়:

হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্যিক শৈলী ছিল এমন, যা খুব সহজেই পাঠককে তার বইয়ের সঙ্গে যুক্ত করতে পারত। তার লেখা ভাষা ছিল সরল এবং সহজবোধ্য, কিন্তু তার গল্পের ভেতরে যে আধ্যাত্মিকতা এবং গভীরতা ছিল, তা পাঠককে মানসিকভাবে জড়িয়ে রাখত। তিনি প্রায়শই অদ্ভুত চরিত্র এবং সম্পর্কের জটিলতা দিয়ে গল্প গড়ে তুলতেন, যা সমসাময়িক সমস্যা বা মানবিক অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের প্রতিফলন।

এছাড়া, তার উপন্যাসে মানবিক সম্পর্কের চিত্রায়ন ছিল অত্যন্ত নিখুঁত, যা পাঠককে নিজের জীবন, সম্পর্ক, এবং অনুভূতির কথা ভাবতে উদ্বুদ্ধ করত। তার রচনাবলীর মধ্যে কখনও হালকা হাস্যরস, কখনও বা কঠিন বাস্তবতার ছবি দেখা যায়, যা তাকে বিশেষভাবে পরিচিত এবং জনপ্রিয় করে তোলে।

১০. হুমায়ুন আহমেদ: বাংলা সংস্কৃতিতে অবদান

বাংলা সংস্কৃতিতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি:

হুমায়ুন আহমেদ বাংলা সংস্কৃতিতে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং ধারা নিয়ে এসেছিলেন। তিনি তাঁর সাহিত্যে, নাটক ও চলচ্চিত্রে সমাজের নানা সমস্যাকে তুলে ধরার পাশাপাশি মানুষের অন্তর্নিহিত আবেগ, অনুভূতি এবং তাদের মনস্তত্ত্বকে অদ্ভুতভাবে স্পর্শ করেছেন। তার লেখা এবং চলচ্চিত্র নতুন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে পথপ্রদর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলা চলচ্চিত্রের মধ্যে যে কঠিন বাস্তবতা, সামাজিক অসমতা এবং মানুষের দুর্ভোগের চিত্র তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন, তা সত্যিই মন্ত্রমুগ্ধ করেছিল। তার চলচ্চিত্রগুলো সাধারণ মানুষের জীবনকে একটি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেছিল, যা বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক নতুন পথের সূচনা করে।

হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্টির প্রভাব:

হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্যিক প্রভাব শুধু তার লেখা বা চলচ্চিত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তার কাজ বাংলার সংস্কৃতির অংশ হিসেবে বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে প্রভাবিত করতে থাকবে। তার উপন্যাস, নাটক, এবং চলচ্চিত্র সামাজিক পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। তিনি কখনও-সখনও সমাজের কষ্ট, দুর্দশা এবং মানুষের অস্তিত্বের সংকট নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন।

এছাড়া, তার রচনায় সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বৈচিত্র্যের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জীবন ও অভ্যন্তরীণ দুঃখ-কষ্টকে উপস্থাপন করেছেন, যা আমাদের সংস্কৃতির মূল স্তম্ভগুলিকে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

১১. হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর পর তার কাজের অবদান

তার মৃত্যু এবং উত্তরাধিকার:

হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর পর তার সৃষ্টির গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। তার মৃত্যু বাংলা সাহিত্যে এবং চলচ্চিত্রে এক বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি করেছে, তবে তার কাজ এবং সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি আজও আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। তার উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, এবং চলচ্চিত্রগুলো আজও পাঠক ও দর্শকদের মনে গভীরভাবে প্রভাবিত করছে।

হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রে যে গভীরতা এবং মানবিক মূল্যবোধ ছিল, তা আজও তার কাজের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাকে সজীব রেখেছে। তার সাহিত্য ছিল এমন যে, তা কেবল তার জীবদ্দশায় নয়, মৃত্যুর পরও নানা প্রজন্মের কাছে প্রাসঙ্গিক এবং জনপ্রিয় হয়ে থাকবে।

তার সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রের ভবিষ্যত:

হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্টির ভবিষ্যত অত্যন্ত উজ্জ্বল। তার কাজের প্রতি মানুষের আগ্রহ এবং ভালোবাসা আজও অম্লান। আজকের দিনে তার উপন্যাস, নাটক এবং চলচ্চিত্র নতুন প্রজন্মের মধ্যে সমানভাবে জনপ্রিয়। তার সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অনেকেই বাংলা সাহিত্যের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করেছেন। তার সৃষ্টির মূল্য আগামী প্রজন্মের জন্যও অমুল্য এবং তাদের কাছে এই ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ থাকবে।

১২. হুমায়ুন আহমেদ: বাংলা সাহিত্য চলচ্চিত্রের পথপ্রদর্শক

সাহিত্য চলচ্চিত্রের সংযোগ:

হুমায়ুন আহমেদ বাংলা সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ স্থাপন করেছিলেন। তিনি তার সাহিত্যে যে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সমাজের বাস্তবতা তুলে ধরেছিলেন, তা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আরও ব্যাপকভাবে উপস্থাপন করেছিলেন। তার লেখা উপন্যাস ও গল্পের গল্পরূপে রূপান্তরিত হয়ে, যেমন আগুনের পরশমণি বা শ্রাবণ মেঘের দিন চলচ্চিত্রে পরিণত হয়েছিল, তেমনি সেই চলচ্চিত্রগুলোকে সাহিত্যের নিরিখে মূল্যায়ন করা হয়েছিল। তিনি সফলভাবে তার সাহিত্যকে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে জীবন্ত করে তুলেছিলেন, যা বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করে।

বাংলা চলচ্চিত্রের নবযুগের সূচনা:

হুমায়ুন আহমেদ বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসেন। তার চলচ্চিত্রগুলি শুধু বিনোদনের খোরাক সরবরাহ করেনি, বরং মানুষের মানসিক জগতের গভীরে প্রবেশ করেছে। বাংলা চলচ্চিত্রের যে বিশাল অবমূল্যায়ন ছিল, তা তিনি তার সিনেমার মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় নিয়ে আসেন। তার পরিচালিত সিনেমাগুলির মধ্যে এক ধরনের সামাজিক সংযোগ ছিল, যা সাধারণ মানুষকে তাদের জীবনের বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে নতুন ভাবনায় চিন্তা করতে বাধ্য করত।

বিশেষভাবে তার আগুনের পরশমণি (১৯৯৪), শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯), এবং দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭) সিনেমাগুলোর মাধ্যমে তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিলেন, যা শুধুমাত্র সৃজনশীলতার দিক থেকে নয়, সাংস্কৃতিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তিনি কেবলমাত্র এক দিক থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেননি, বরং চলচ্চিত্রে মানবিক দৃষ্টিকোণ, গভীর দর্শন এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করেছিলেন।

১৩. হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতি অবদান

বাংলা সংস্কৃতির উন্নয়ন:

হুমায়ুন আহমেদ বাংলা সংস্কৃতির একজন অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন। তার লেখায় যে বাংলাদেশ এবং বাংলার জনগণের জীবনের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়, তা সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের মনের গভীরে প্রবেশ করেছিল। তার সাহিত্য এবং চলচ্চিত্র সমাজের নানান বাস্তবতা, মানুষের দুঃখ-কষ্ট এবং জীবনের নিদানময় মুহূর্তগুলোকে অত্যন্ত যত্নসহকারে তুলে ধরেছিল। তার লেখা শুধুমাত্র বিনোদন বা সাহিত্য হিসেবে মূল্যবান ছিল না, বরং তা বাংলা সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

তার লেখনী, চলচ্চিত্র এবং নাটকগুলির মধ্যে যে বৈচিত্র্যময়তা ছিল, তা বাংলা সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। তিনি বাঙালি সংস্কৃতির নানা দিক — যেমন, বাংলা নাটক, বাংলা চলচ্চিত্র, এবং বাংলা উপন্যাসকে এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করেছেন। আজকের বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির যে অবস্থান, তাতে তার অবদান অসীম এবং অনস্বীকার্য।

বাংলা লেখকদের অনুপ্রেরণা:

হুমায়ুন আহমেদ তার সাহিত্যিক শৈলী ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে কেবলমাত্র পাঠকদেরই নয়, নতুন প্রজন্মের লেখকদের জন্যও এক অমূল্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তার সহজ, কিন্তু গভীর ভাষা, চরিত্রের নরম অনুভূতি এবং সমাজের নিখুঁত বিশ্লেষণ নতুন লেখকদের জন্য এক দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। তার সাহিত্য চর্চা তরুণ লেখকদের উৎসাহিত করেছে এবং বাংলা সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক পরিসরে আরও বিশাল দৃষ্টিভঙ্গিতে নিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছে। তার কাজ বাংলা সাহিত্যের মধ্যে গভীর সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং মানবিক দিকগুলোকে তুলে ধরে আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে, যা আগামী প্রজন্মের জন্য অসীম শিক্ষা ও প্রেরণা।

১৪. হুমায়ুন আহমেদ এবং তার শ্রদ্ধেয় সৃষ্টি

মৃত্যুর পর তার সাহিত্যিক প্রভাব

হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যু আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতির জন্য এক শূন্যতা রেখে গেছে। তবে, তার সৃষ্টির শক্তি এবং গভীরতা এতটাই শক্তিশালী যে, আজও তার সাহিত্য এবং চলচ্চিত্র থেকে আমরা শিক্ষার বিষয়গুলো গ্রহণ করে চলেছি। তার লেখার মধ্যে মানবিকতা, প্রেম, সম্পর্ক, দ্বন্দ্ব, এবং সামাজিক অস্থিরতার প্রতি যে মনোযোগ ছিল, তা আজও আমাদের চিন্তা ও অনুভূতিতে তার উপস্থিতি প্রকাশিত করে।

তার মৃত্যুর পর, তার বইগুলো এখনও বিক্রি হচ্ছে, তার সিনেমাগুলো এখনও দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয় এবং তার সৃষ্টি এখনও মানুষের মনের মধ্যে জীবিত। তার সাহিত্য এবং চলচ্চিত্র ভবিষ্যতেও বাংলার সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্টির স্থায়ীত্ব:

তার সৃষ্টির স্থায়ীত্বের বিষয়টি যে অমোচনীয় তা আজও স্পষ্ট। সারা পৃথিবীজুড়ে তার সৃষ্টি এবং সাহিত্য নিয়ে গবেষণা, আলোচনাসভা, এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। তার কাজ শুধু এক সময়ের জন্য ছিল না, বরং দীর্ঘকাল ধরে সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের জগতে এক দিকনির্দেশনা হিসেবে থাকবে। তার সাহিত্য, চলচ্চিত্র এবং রচনার মধ্যে যে গভীরতা এবং প্রাসঙ্গিকতা ছিল, তা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সম্পূর্ণ নতুন মাত্রা তৈরি করে।

১৫. হুমায়ুন আহমেদ: তাঁর সৃষ্টির প্রভাব এবং ভবিষ্যতের পাথেয়

আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক:

হুমায়ুন আহমেদ আজও আমাদের কাছে প্রাসঙ্গিক। তার সাহিত্য, চলচ্চিত্র, এবং নাটক মানুষের মনোজগতের চিরকালীন বাস্তবতার ছবি আঁকছে। তিনি যে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের পরিচিতি দিয়েছেন, তা আজও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিফলিত হয়। সামাজিক অস্থিরতা, সম্পর্কের জটিলতা, এবং মানুষের অন্তর্নিহিত যুদ্ধের বিষযগুলো তার লেখায় তুলে ধরা হয়েছে, যা আমাদের চিন্তা-ভাবনাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।

ভবিষ্যতে হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রের অবদান

হুমায়ুন আহমেদের কাজের প্রভাব আগামী প্রজন্মের উপর বিশাল আছ। তার সাহিত্য এবং চলচ্চিত্র বাংলা সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে, এবং তার সৃষ্টির গুরুত্ব দিন দিন আরও বাড়বে। এমনকি, নতুন প্রজন্মের লেখকরা তার সাহিত্যিক শৈলীকে অনুকরণ করতে চাইবে এবং তার কাজের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যের শক্তি আরও দৃঢ় হয়ে উঠবে।

১৬. হুমায়ুন আহমেদ: ব্যক্তি এবং সৃষ্টি

ব্যক্তিগত জীবন এবং সাহিত্যকর্মে প্রভাব:

হুমায়ুন আহমেদ শুধুমাত্র একজন মহান সাহিত্যিক ছিলেন না, তিনি এক অসাধারণ ব্যক্তি ছিলেন। তার ব্যক্তিগত জীবনও ছিল অনেকটাই প্রকাশ্য, যা তার লেখার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে। তার জীবনযাপন ছিল অনেকটা সাধারণ মানুষের মতো, তবে তার ভাবনা এবং চিন্তা-ভাবনা ছিল অসাধারণ। তার লেখা প্রায়শই তার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা, অনুভূতি, এবং চিন্তাভাবনা থেকে অনুপ্রাণিত হত। তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনের আনন্দ-দুঃখ, সম্পর্ক এবং পরিবারের সঙ্গেও এক অদ্ভুত সমীকরণ তৈরি করেছিলেন যা পাঠকদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ তৈরি করত।

হুমায়ুন আহমেদ তার জীবনের নানা অধ্যায়ে, বিশেষত তার পরিবার, বন্ধু, এবং সহকর্মীদের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্কগুলোকে স্নেহ ও সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখতেন। তার কাজের মধ্যে যে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, তা তার নিজের জীবনযাত্রাকেই প্রতিফলিত করত। তিনি মানুষের অনুভূতি, দুঃখ, কষ্ট, হাসি এবং কান্নার প্রতি গভীর মনোযোগ দিয়েছিলেন, যা তার সাহিত্য ও চলচ্চিত্রে উজ্জ্বলভাবে ফুটে উঠেছিল।

ব্যক্তিগত জীবনের প্রভাব তার সাহিত্য চলচ্চিত্রে:

হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস এবং চলচ্চিত্রে তার জীবনযাত্রার অদ্ভুত মিশ্রণ দেখা যায়। তার সম্পর্কের জটিলতা, প্রণয়, পরিবার এবং সমাজের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি অনেক সময় তার লেখায় অবধি প্রকাশ পেয়েছে। তার চরিত্রগুলোর মধ্যে যে সাধারণত্ব এবং অনুভূতির প্রকৃত চিত্র ছিল, তা পাঠককে সহজেই সহানুভূতির মাধ্যমে একাত্ম হয়ে উঠতে বাধ্য করত।

তার লেখার মধ্যে অনেকেই তার ব্যক্তিগত জীবনকে খুঁজে পেয়েছেন, বিশেষ করে তার প্রেমের জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গতি, পরিবারের প্রতি তার দায়িত্বশীলতা, এবং তার নিজস্ব দুঃখ-কষ্টের প্রতিফলন তার লেখায় ছিল দৃশ্যমান। এমনকি, তার মৃত্যুর পর, তার জীবন নিয়ে আলোচনা এবং তার সাহিত্যিক কাজের প্রতিক্রিয়া নতুন প্রজন্মের কাছে এক নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১৭. হুমায়ুন আহমেদ: সাহিত্য চলচ্চিত্রের সীমানা পেরিয়ে

হুমায়ুন আহমেদ এবং তার আন্তর্জাতিক পরিচিতি:

হুমায়ুন আহমেদ শুধু বাংলাদেশে নয়, তার কাজ আন্তর্জাতিক পরিসরে সমাদৃত হয়েছে। তার সাহিত্যিক সৃষ্টির আবেদন দেশীয় সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয়েছে। তার উপন্যাস ও গল্পে যে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সাধারণ মানুষের জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে, তা পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার পাঠকদের কাছে সহজেই পৌঁছেছে।

তাঁর কাজের আন্তর্জাতিক পরিচিতি শুধুমাত্র সাহিত্যিক দিক থেকে নয়, বরং তার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। বাংলা চলচ্চিত্রের যে সীমাবদ্ধতা ছিল, তা তিনি তার কাজের মাধ্যমে অতিক্রম করেছেন এবং বাংলা সিনেমার প্রতি বিশ্বব্যাপী আগ্রহ তৈরি করেছেন।

হুমায়ুন আহমেদ: বাংলা ভাষার বিশ্বদরবারে উন্নয়ন:

বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পেছনে হুমায়ুন আহমেদের বিশেষ অবদান ছিল। তিনি বাংলা ভাষায় সাহিত্য, নাটক এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাঙালির সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছেন। তার লেখার সহজ ভাষা, সামাজিক রুচি এবং দৃষ্টিকোণ বাংলা ভাষাকে আরও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে। তার সাহিত্য অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে, যার ফলে তার কাজ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছেছে।

এছাড়া, তার চলচ্চিত্র এবং নাটকগুলো বিদেশি দর্শক এবং সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। তার কাজের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্র এক নতুন দৃষ্টিকোণ লাভ করেছে এবং আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্র নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

১৮. হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্টির ভবিষ্যত: একটি দৃষ্টিভঙ্গি

আজকের সাহিত্যিকদের কাছে পথপ্রদর্শক:

হুমায়ুন আহমেদ আজও বর্তমান প্রজন্মের লেখকদের কাছে এক শক্তিশালী পথপ্রদর্শক। তার সাহিত্যের মধ্যে যে মানবিক অনুভূতি, সহজ ভাষা এবং সম্পর্কের নিখুঁত বিশ্লেষণ ছিল, তা আজকের সাহিত্যিকদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। তার লেখা কেবল গল্প বা উপন্যাস নয়, তা মানুষের অনুভূতি এবং সমাজের বাস্তবতার একটি একান্ত ছবি।

নতুন লেখকদের জন্য তার সৃষ্টির গুরুত্ব যে শুধু আধ্যাত্মিক নয়, বরং তাদের ভাবনা এবং লেখার পদ্ধতিতে নতুন দিকনির্দেশনা তৈরিতে সহায়ক হয়েছে, তা অনস্বীকার্য। তার লেখনীতে যে গভীরতা ছিল, তা আজকের সাহিত্যিকদের চিন্তা করার নতুন আঙ্গিক প্রদান করেছে।

হুমায়ুন আহমেদের কাজের স্থায়িত্ব:

অবশ্যই, হুমায়ুন আহমেদের কাজ অমর। তার সাহিত্য এবং চলচ্চিত্র বাংলা সংস্কৃতিতে এক অম্লান চিহ্ন রেখে গেছে। এমনকি তার মৃত্যুর পরও তার লেখা আজও পাঠক-দর্শকদের হৃদয়ে গভীরভাবে মিশে আছে। আগামী প্রজন্মের কাছে তার সাহিত্য, চলচ্চিত্র এবং নাটক শুধুমাত্র অতীতের ঐতিহ্য নয়, বরং একটি জীবন্ত দর্শন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে।

তার কাজ সময়ের সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়বে এবং তার প্রভাব আগামী শতাব্দী পর্যন্ত অনুভূত হবে। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে হুমায়ুন আহমেদ যে চিরকালীন স্থান দখল করেছেন, তা অবিস্মরণীয়।

১৯. হুমায়ুন আহমেদ: আজকের যুগে তার সাহিত্য চলচ্চিত্রের গুরুত্ব

বর্তমান সাহিত্যিক চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছে প্রভাব:

হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্য ও চলচ্চিত্র আজও বর্তমান লেখক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য এক অমূল্য রিসোর্স হিসেবে কাজ করছে। তার কাজের মধ্যে যে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, সহজ ভাষা, সমাজের জটিলতা এবং চরিত্রের গভীরতা ছিল, তা আজকের সাহিত্যিক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে অনেকেই অনুসরণ করছেন। তার সাহিত্যে যে ধরনের সামাজিক এবং রাজনৈতিক আঙ্গিক ছিল, সেটি নতুন নির্মাতাদের কাছে উপযোগী হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের বর্তমান সমাজের চিত্র তুলে ধরতে।

এছাড়া, হুমায়ুন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের মধ্যে যেভাবে আধুনিকতার ছাপ রেখেছিলেন, সেটি বর্তমান প্রজন্মের জন্য অনেক বড় উপদেশ। তার লেখা এবং কাজের মাধ্যমে যে সাহসী প্রশ্ন এবং উত্তর খোঁজার চেষ্টা ছিল, তা ভবিষ্যতেও সাহিত্যিক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য এক দিশারী হয়ে থাকবে।

২০. উপসংহার

হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্যিক প্রভাব এবং তার অনন্য অবদান:

হুমায়ুন আহমেদ বাংলা সাহিত্য, নাটক এবং চলচ্চিত্রের একজন অন্যতম পথপ্রদর্শক। তার লেখায় যে মানবিকতা, সহজতা, এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, তা তাকে বাংলা সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রের এক অমূল্য রত্ন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তার কাজের মাধ্যমে তিনি যে পাঠকদের এবং দর্শকদের মন জয় করেছেন, তা শুধু তার সময়কেই নয়, আগামী প্রজন্মকেও প্রভাবিত করবে।

হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্যিক উত্তরাধিকার একটি বিশাল প্রভাব ফেলেছে বাংলা সাহিত্যে। তার সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তিনি সমাজের গহীন কোণগুলো চিহ্নিত করেছেন এবং এক নতুন সাহিত্যিক ভোরের সূচনা করেছেন। বাংলা সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রে তার অবদান আজও অনুভূত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে তার কাজগুলো আমাদের কাছে একটি অমূল্য ধন হয়ে থাকবে।

হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টিকর্ম বলতে প্রধানত বোঝায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ বিরচিত গল্প, উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, গোয়েন্দা কাহিনী, আত্মজীবনীমূলক উপাখ্যান, ভ্রমণ কাহিনী, অনুবাদ, কবিতা, সঙ্গীত এবং চিত্রকর্ম। তবে পরিচালক হিসাবে তিনি যে সকল নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন সেগুলোও তাঁর সৃষ্টি কর্মের অন্তর্ভুক্ত। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর হুমায়ূন আহমেদের সকল প্রকাশিত গ্রন্থ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেছে।

নিচের সারণীতে প্রকাশকাল অনুসারে গ্রন্থের বিবরণ প্রদত্ত।

উপন্যাস

সমকালীন উপন্যাস

বইয়ের নামপ্রকাশকালপ্রকাশক
নন্দিত নরকে Nondito Noroke১৯৭২ফেব্রুয়ারি ২০০৯: অন্যপ্রকাশ
শঙ্খনীল কারাগার Shonkhonil Karagar১৯৭৩ফেব্রুয়ারি ২০০৯: অন্যপ্রকাশ
আমার আছে জল Amar Ache Jol১৯৮৫শিখা প্রকাশনী
ফেরাজুলাই ১৯৮৬আফসার ব্রাদার্স
প্রিয়তমেষুজুন ১৯৮৮মাওলা ব্রাদার্স
সম্রাটসেপ্টেম্বর ১৯৮৮জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
আকাশ জোড়া মেঘফেব্রুয়ারি ১৯৮৮প্রতীক প্রকাশনী
দ্বৈরথমে ১৯৮৯কাকলী প্রকাশনী
সাজঘরআগস্ট ১৯৮৯প্রতীক প্রকাশনী
এইসব দিনরাত্রিফেব্রুয়ারি ১৯৯০অনন্যা
অন্ধকারের গান১৯৯০ফেব্রুয়ারি ২০০৮: অনন্যা
সমুদ্র বিলাসমে ১৯৯০কাকলী প্রকাশনী
অয়োময়আগস্ট ১৯৯০অনুপম প্রকাশনী
বহুব্রীহিআগস্ট ১৯৯০আফসার ব্রাদার্স
নীল অপরাজিতাফেব্রুয়ারি ১৯৯১মাওলা ব্রাদার্স
দুই দুয়ারীএপ্রিল ১৯৯১জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
আশাবরীনভেম্বর ১৯৯১সময় প্রকাশন
কোথাও কেউ নেইফেব্রুয়ারি ১৯৯২কাকলী প্রকাশনী
দি একসরসিস্টফেব্রুয়ারি ১৯৯২জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
পাখি আমার একলা পাখিফেব্রুয়ারি ১৯৯২অনুপম প্রকাশনী
জলপদ্ম১ নভেম্বর ১৯৯২সময় প্রকাশন
আয়নাঘর১৩ নভেম্বর ১৯৯২সময় প্রকাশন
কৃষ্ণপক্ষফেব্রুয়ারি ১৯৯২সুবর্ণ
জনম জনমজানুয়ারি ১৯৯৩কাকলী প্রকাশনী
তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণেফেব্রুয়ারি ১৯৯৩কাকলী প্রকাশনী
জল জোছনাজুন ১৯৯৩পার্ল পাবলিকেশন্স
পোকাজুন ১৯৯৩পার্ল পাবলিকেশন্স
মন্দ্রসপ্তকজুলাই ১৯৯৩সময় প্রকাশন
তিথির নীল তোয়ালেঅক্টোবর ১৯৯৩সময় প্রকাশন
নবনীসেপ্টেম্বর ১৯৯৩সময় প্রকাশন
ছায়াবীথিফেব্রুয়ারি ১৯৯৪পার্ল পাবলিকেশন্স
জয়জয়ন্তীফেব্রুয়ারি ১৯৯৪মাওলা ব্রাদার্স
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদফেব্রুয়ারি ১৯৯৪জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
তোমাকেঅক্টোবর ১৯৯৪অনন্যা
শ্রাবণ মেঘের দিন৩০ নভেম্বর ১৯৯৪সময় প্রকাশন
গৌরীপুর জংশনফেব্রুয়ারি ১৯৯৫কাকলী প্রকাশনী
জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুলফেব্রুয়ারি ১৯৯৫অনন্যা
পারুল তিনটি কুকুরফেব্রুয়ারি ১৯৯৫পার্ল পাবলিকেশন্স
পেন্সিলে আঁকা পরীফেব্রুয়ারি ১৯৯৫প্রতীক প্রকাশনী
কবিজানুয়ারি ১৯৯৬কাকলী প্রকাশনী
আমাদের শাদা বাড়িফেব্রুয়ারি ১৯৯৬সময় প্রকাশন
দূরে কোথায়মার্চ ১৯৯৭মাওলা ব্রাদার্স
রুমালীসেপ্টেম্বর ১৯৯৭পার্ল পাবলিকেশন্স
অপেক্ষাডিসেম্বর ১৯৯৭আফসার বাদ্রার্স
মেঘ বলেছে যাব যাবফেব্রুয়ারি ১৯৯৭অবসর প্রকাশনা
কালো যাদুকরফেব্রুয়ারি ১৯৯৮পার্ল পাবলিকেশন্স
চৈত্রের দ্বিতীয় দিবসনভেম্বর ১৯৯৮অনন্যা
মীরার গ্রামের বাড়ীফেব্রুয়ারি ১৯৯৮কাকলী প্রকাশনী
ইস্টিশনঅক্টোবর ১৯৯৯অনন্যা
এই মেঘ, রৌদ্রছায়াফেব্রুয়ারি ১৯৯৯সময় প্রকাশন
রূপার পালঙ্কফেব্রুয়ারি ১৯৯৯অন্যপ্রকাশ
বৃষ্টি বিলাসফেব্রুয়ারি ২০০০অন্যপ্রকাশ
যদিও সন্ধ্যাফেব্রুয়ারি ২০০০অন্যপ্রকাশ
আজ চিত্রার বিয়েফেব্রুয়ারি ২০০১সময় প্রকাশন
তেতুল বনে জোছনাফেব্রুয়ারি ২০০১অন্যপ্রকাশ
বৃষ্টি মেঘমালাফেব্রুয়ারি ২০০১পার্ল পাবলিকেশন্স
মৃন্ময়ীফেব্রুয়ারি ২০০১অন্যপ্রকাশ
কুটু মিয়াসেপ্টেম্বর ২০০১অন্যপ্রকাশ
নীল মানুষফেব্রুয়ারি ২০০২অন্যপ্রকাশ
আসমানীরা তিন বোনজুন ২০০২অন্যপ্রকাশ
বাসরজুলাই ২০০২অন্যপ্রকাশ
একজন মায়াবতীআগস্ট ২০০২অন্যপ্রকাশ
উড়ালপঙ্খিঅক্টোবর ২০০২অন্যপ্রকাশ
অচিনপুর২০০২অন্যপ্রকাশ
আজ আমি কোথাও যাব না২০০২অন্যপ্রকাশ
আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতিফেব্রুয়ারি ২০০৩অন্যপ্রকাশ
রজনীফেব্রুয়ারি ২০০৩অন্যপ্রকাশ
রোদনভরা বসন্তফেব্রুয়ারি ২০০৩অনন্যা
একা একাএপ্রিল ২০০৩অন্যপ্রকাশ
প্রথম প্রহরএপ্রিল ২০০৩অন্যপ্রকাশ
দিনের শেষেফেব্রুয়ারি ১৯৯০অন্যপ্রকাশ
নক্ষত্রের রাতজুন ২০০৩অন্যপ্রকাশ
এপিটাফজুন ২০০৪অন্যপ্রকাশ
এই বসন্তেফেব্রুয়ারি ২০০৫অন্যপ্রকাশ
লীলাবতীফেব্রুয়ারি ২০০৫অন্যপ্রকাশ
সেদিন চৈত্রমাসফেব্রুয়ারি ২০০৫অনন্যা
অরণ্যমে ২০০৫অন্যপ্রকাশ
কে কথা কয়ফেব্রুয়ারি ২০০৬অন্যপ্রকাশ
মৃন্ময়ীর মন ভালো নেইফেব্রুয়ারি ২০০৬কাকলী প্রকাশনী
কুহুরানীফেব্রুয়ারি ২০০৬অনন্যা
লিলুয়া বাতাসফেব্রুয়ারি ২০০৬অন্যপ্রকাশ
কিছুক্ষণফেব্রুয়ারি  ২০০৭আফসার বাদ্রার্স
মধ্যাহ্নফেব্রুয়ারি ২০০৭: ১ম খণ্ড

ফেব্রুয়ারি ২০০৮: ২য় খণ্ড

ফেব্রুয়ারি ২০০৮: অখণ্ড

অন্যপ্রকাশ
অপরাহ্ণফেব্রুয়ারি ২০০৮অনন্যা
অমানুষফেব্রুয়ারি ২০০৯অন্বেষা প্রকাশন
চক্ষে আমার তৃষ্ণাফেব্রুয়ারি ২০০৯অনুপম প্রকাশনী
দিঘির জলে কার ছায়া গোফেব্রুয়ারি ২০০৯অন্যপ্রকাশ
বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুলফেব্রুয়ারি ২০০৯কাকলী প্রকাশনী
নির্বাসনফেব্রুয়ারি ২০০৯অন্বেষা প্রকাশন
সবাই গেছে বনেফেব্রুয়ারি ২০০৯অন্বেষা প্রকাশন
সে নর্তকীফেব্রুয়ারি ২০০৯অন্বেষা প্রকাশন
মানবীফেব্রুয়ারি ২০০৯অন্যপ্রকাশ
সানাউল্লার মহাবিপদএপ্রিল ২০০৯সাগর পাবলিশার্স
অন্যদিন২০০৯অন্বেষা প্রকাশন
চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক২০০৯অন্বেষা প্রকাশন
নলিনী বাবু বি.এসসিফেব্রুয়ারি ২০১০কাকলী প্রকাশনী
মাতাল হাওয়াফেব্রুয়ারি  ২০১০অন্যপ্রকাশ
রূপাফেব্রুয়ারি ২০১০অন্বেষা প্রকাশন
ম্যাজিক মুনশিনভেম্বর ২০১০অন্যপ্রকাশ
একটি সাইকেল এবং কয়েকটি ডাহুক পাখিফেব্রুয়ারি ২০১১কাকলী প্রকাশনী
বাদশাহ নামদারফেব্রুয়ারি ২০১১অন্যপ্রকাশ
আমরা কেউ বাসায় নেইজুলাই ২০১১মাওলা ব্রাদার্স
দাঁড়কাকের সংসার কিংবা মাঝে মাঝে তব দেখা পাইফেব্রুয়ারি ২০১২কাকলী প্রকাশনী
মেঘের ওপর বাড়িফেব্রুয়ারি ২০১২অন্যপ্রকাশ

 

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রাজনৈতিক উপন্যাস

বইয়ের শিরোনামপ্রকাশকালপ্রকাশক
সৌরভ১৯৮৪ফেব্রুয়ারি ২০০৩: অন্যপ্রকাশ
আগুনের পরশমণিডিসেম্বর ১৯৮৬জুলাই ২০০৫: অন্যপ্রকাশ
অনিল বাগচীর একদিনফেব্রুয়ারি ১৯৯২শিখা প্রকাশনী
১৯৭১জানুয়ারি ১৯৯৩

ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬

মাওলা ব্রাদার্স,

আফসার বাদ্রার্স

শ্যামল ছায়ামার্চ ২০০৩অন্যপ্রকাশ
জোছনা জননীর গল্পফেব্রুয়ারি ২০০৪অন্যপ্রকাশ
দেয়ালফেব্রুয়ারি ২০১৩অন্যপ্রকাশ
একাত্তর এবং আমার বাবাফেব্রুয়ারি ২০১৪সময় প্রকাশন

 

উপাখ্যানমালা: হিমু

বইয়ের শিরোনামপ্রকাশকালপ্রকাশক
ময়ূরাক্ষীমে ১৯৯০অনন্যা
দরজার ওপাশেমে ১৯৯২জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
হিমুফেব্রুয়ারি ১৯৯৩প্রতীক প্রকাশনী
পারাপার১৯৯৩ফেব্রুয়ারি ২০০৫: অন্যপ্রকাশ
এবং হিমুফেব্রুয়ারি ১৯৯৫সময় প্রকাশন
হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম১৪ এপ্রিল ১৯৯৬দিব্যপ্রকাশ
হিমুর দ্বিতীয় প্রহরফেব্রুয়ারি ১৯৯৭কাকলী প্রকাশনী
হিমুর রূপালী রাত্রিঅক্টোবর ১৯৯৮জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
একজন হিমু কয়েকটি ঝিঁঝিঁ পোকামে ১৯৯৯পার্ল পাবলিকেশন্স
তোমাদের এই নগরেফেব্রুয়ারি ২০০০অনন্যা
চলে যায় বসন্তের দিনফেব্রুয়ারি ২০০২অন্যপ্রকাশ
সে আসে ধীরেফেব্রুয়ারি ২০০৩অন্যপ্রকাশ
আঙুল কাটা জগলুফেব্রুয়ারি ২০০৫কাকলী প্রকাশনী
হলুদ হিমু কালো ্যাবফেব্রুয়ারি ২০০৬অন্যপ্রকাশ
আজ হিমুর বিয়েফেব্রুয়ারি ২০০৭অন্যপ্রকাশ
হিমু রিমান্ডেফেব্রুয়ারি ২০০৮অন্যপ্রকাশ
হিমুর একান্ত সাক্ষাৎকার অন্যান্যফেব্রুয়ারি ২০০৮অন্বেষা প্রকাশন
হিমুর বাবার কথামালাফেব্রুয়ারি বইমেলা ২০০৯অন্বেষা প্রকাশন
হিমুর মধ্যদুপুরফেব্রুয়ারি বইমেলা ২০০৯অন্বেষা প্রকাশন
হিমুর নীল জোছনাফেব্রুয়ারি বইমেলা ২০১০অন্যপ্রকাশ
হিমুর আছে জল২০১১অন্যপ্রকাশ
হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরীফেব্রুয়ারি ২০১১জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
হিমু এবং হার্ভার্ড Ph.D. বল্টুভাইফেব্রুয়ারি ২০১২অন্যপ্রকাশ

 

উপাখ্যানমালা: মিসির আলি

বইয়ের শিরোনামপ্রকাশকালপ্রকাশক
দেবীজুন ১৯৮৫অবসর প্রকাশনা
নিশীথিনী১৯৮৬প্রতীক প্রকাশনী
অন্যভুবনজানুয়ারি ১৯৮৭অনন্যা
নিষাদ১৯৮৯প্রতীক প্রকাশনী
বৃহন্নলাআগস্ট ১৯৮৯প্রতীক প্রকাশনী
ভয়মে ১৯৯১আফসার বাদ্রার্স
বিপদনভেম্বর ১৯৯১শিখা প্রকাশনী
অনীশমে ১৯৯২অনুপম প্রকাশনী
আমি এবং আমরাফেব্রুয়ারি ১৯৯৩প্রতীক প্রকাশনী
মিসির আলির আমীমাংসিত রহস্যফেব্রুয়ারি ১৯৯৬সময় প্রকাশন
তন্দ্রাবিলাসফেব্রিয়ারি ২০০৯অন্বেষা প্রকাশন
আমিই মিসির আলিফেব্রুয়ারি ২০০০অন্যপ্রকাশ
বাঘবন্দী মিসির আলিজুন ২০০১অনন্যা
কহেন কবি কালিদাসফেব্রিয়ারি ২০০৫দিব্যপ্রকাশ
হরতন ইশকাপনফেব্রুয়ারি ২০০৮অনন্যা
মিসির আলির চশমাফেব্রুয়ারি ২০০৮অন্যপ্রকাশ
মিসির আলি! আপনি কোথায়?ফেব্রুয়ারি, ২০০৯সময় প্রকাশন
মিসির আলি UNSOLVEDজুলাই ২০০৯কাকলী প্রকাশনী
পুফিফেব্রুয়ারি ২০১১অনন্যা
যখন নামিবে আঁধারফেব্রুয়ারি ২০১২অন্যপ্রকাশ

 

উপাখ্যানমালা: শুভ্র

বইয়ের শিরোনামপ্রকাশকালপ্রকাশক
দারুচিনি দ্বীপফেব্রুয়ারি ১৯৯১অনুপম প্রকাশনী
মেঘের ছায়াফেব্রুয়ারি ১৯৯৩প্রতীক প্রকাশনী
রূপালী দ্বীপজানুয়ারি ১৯৯৪অনুপম প্রকাশনী
শুভ্রফেব্রুয়ারি ২০০০অন্যপ্রকাশ
এই শুভ্র! এইঅক্টোবর ২০০৩অন্যপ্রকাশ
শুভ্র গেছে বনেফেব্রুয়ারি  ২০১০অন্যপ্রকাশ

 

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী

বইয়ের শিরোনামপ্রকাশকালপ্রকাশক
ইরিনাফেব্রুয়ারি ১৯৮৮প্রতীক প্রকাশনী
অনন্ত নক্ষত্র বীথিসেপ্টেম্বর ১৯৮৮কাকলী প্রকাশনী
তোমাদের জন্য ভালোবাসাফেব্রুয়ারি ২০০৯অন্বেষা প্রকাশন
কুহকফেব্রুয়ারি ১৯৯১প্রতীক প্রকাশনী
নিফেব্রুয়ারি ১৯৯২কাকলী প্রকাশনী
ফিহা সমীকরণফেব্রুয়ারি ১৯৯২আফসার বাদ্রার্স
শূন্যফেব্রুয়ারি ১৯৯৪সময় প্রকাশন
ইমাফেব্রুয়ারি ১৯৯৮সময় প্রকাশন
ওমেগা পয়েন্টফেব্রুয়ারি ২০০০সময় প্রকাশন
তারা তিন জনফেব্রুয়ারি ২০০২অন্যপ্রকাশ
দ্বিতীয় মানবফেব্রুয়ারি ২০০২অন্যপ্রকাশ
অঁহক (সংকলন)ফেব্রুয়ারি ২০০৯সাগর পাবলিশার্স

 

আত্মজীবনী স্মৃতিকথা

বইয়ের শিরোনামপ্রকাশকালপ্রকাশক
এলেবেলে (১ম পর্ব)মে ১৯৯০সময় প্রকাশন
এলেবেলে (২য় পর্ব)মে ১৯৯০সময় প্রকাশন
আমার ছেলেবেলাফেব্রুয়ারি ১৯৯১কাকলী প্রকাশনী
অনন্ত অম্বরেজানুয়ারি ১৯৯২ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭: কাকলী প্রকাশনী
আমার আপন আঁধারফেব্রুয়ারি ১৯৯৩প্রতীক প্রকাশনী
এই আমিনভেম্বর ১৯৯৩কাকলী প্রকাশনী
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই (সংকলন)ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪কাকলী প্রকাশনী
সকল কাঁটা ধন্য করেফেব্রুয়ারি ১৯৯৫কাকলী প্রকাশনী
ছবি বানানোর গল্পফেব্রুয়ারি ১৯৯৬সুবর্ণ
কিছু শৈশবফেব্রুয়ারি ২০০৭অন্যপ্রকাশ
বলপয়েন্টফেব্রুয়ারি ২০০৯অন্যপ্রকাশ
কাঠপেন্সিলনভেম্বর ২০০৯অন্যপ্রকাশ
ফাউন্টেনপেনঅন্যপ্রকাশ
রঙপেন্সিলনভেম্বর ২০১১অন্যপ্রকাশ
নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদফেব্রুয়ারি ২০১২অন্যপ্রকাশ
বসন্ত বিলাপনভেম্বর ২০১২প্রথমা প্রকাশন
হিজিবিজিফেব্রুয়ারি ২০১৩অন্যপ্রকাশ

 

ভ্রমণ কাহিনী

বইয়ের শিরোনামপ্রকাশকালপ্রকাশক
হোটেল গ্রেভার ইনআগস্ট ১৯৮৯কাকলী প্রকাশনী
মে ফ্লাওয়ারফেব্রুয়ারি ১৯৯১অনন্যা
যশোহা বৃক্ষের দেশেঅক্টোবর ১৯৯৪সময় প্রকাশন
দেখা নাদেখাফেব্রুয়ারি ২০০৭অন্যপ্রকাশ
রাবনের দেশে আমি আমরাফেব্রুয়ারি ২০১১অন্যপ্রকাশ
পায়ের তলায় খড়মফেব্রুয়ারি ২০১২অন্যপ্রকাশ

 

নাটক

বইয়ের শিরোনামপ্রকাশকালপ্রকাশক
নৃপতিফেব্রুয়ারি ১৯৯১জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
স্বপ্ন অন্যান্য (সংকলন)ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩সময় প্রকাশন
মহাপুরুষসেপ্টেম্বর ১৯৯৬জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
মঞ্চ নাটক ১৯৭১৪র্থ, নভেম্বর ১৯৯৬জ্ঞানকোষ প্রকাশনী

 

শিশুতোষ কিশোর উপন্যাস

বইয়ের শিরোনামপ্রকাশকালপ্রকাশক
সূর্যের দিনঅক্টোবর ১৯৮৬জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
পুতুল১৯৮৯প্রতীক প্রকাশনী
বোতল ভূত১৯৮৯প্রতীক প্রকাশনী
ভূত ভূতং ভূতৌঅক্টোবর ১৯৯১কাকলী প্রকাশনী
নুহাশ এবং আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগআগস্ট ১৯৯২আফসার বাদ্রার্স
পিপলী বেগমফেব্রুয়ারি ১৯৯৩অবসর প্রকাশনা
মজার ভূতফেব্রুয়ারি ১৯৯৪অনন্যা
ভয়ংকর ভুতুড়েজুলাই ১৯৯৫অনন্যা
বোকাভুমার্চ ১৯৯৭সময় প্রকাশন
পরীর মেয়ে মেঘবতীমার্চ ১৯৯৭সময় প্রকাশন
চেরাগের দৈত্য এবং বাবলুজুলাই ১৯৯৭পার্ল পাবলিকেশন্স
তোমাদের জন্য রূপকথা১৯৯৮প্রতীক প্রকাশনী
কানী ডাইনীফেব্রুয়ারি ২০০০অন্যপ্রকাশ
ছোটদের জন্য এক ব্যাগ হুমায়ূন (সংকলন)ফেব্রুয়ারি ২০০৩অন্যপ্রকাশ
বোকা রাজার সোনার সিংহাসনফেব্রুয়ারি ২০০৩অন্যপ্রকাশ
টগর এন্ড জেরীফেব্রুয়ারি ২০০৩অন্যপ্রকাশ
ব্যাঙ কন্যা এলেংফেব্রুয়ারি ২০০৩অন্যপ্রকাশ
কাক কাঠগোলাপফেব্রুয়ারি ২০০৩অন্যপ্রকাশ
তিনি সেফেব্রুয়ারি ২০০৩অনন্যা
হিমু মামাফেব্রুয়ারি ২০০৪অবসর প্রকাশনা
ছেলেটাফেব্রুয়ারি ২০০৫সময় প্রকাশন
মিরখাইয়ের অটোগ্রাফফেব্রুয়ারি বইমেলা ২০০৮অন্যপ্রকাশ
হলুদ পরী২০০৯বাংলা প্রকাশ
নীল হাতীফেব্রুয়ারি ২০০৯অন্বেষা প্রকাশন
বনের রাজা২০১০বাংলা প্রকাশ
ভূতমন্ত্র২০১০বাংলা প্রকাশ
রাক্ষক খোক্কস এবং ভোক্ষসফেব্রুয়ারি বইমেলা ২০১০অন্বেষা প্রকাশন
রাজার কুমার নিনিতফেব্রুয়ারি ২০১২অন্যপ্রকাশ
এংগা, বেংগা, চেংগাফেব্রুয়ারি ২০১২অন্যপ্রকাশ
কাকারুফেব্রুয়ারি ২০১৪অন্যপ্রকাশ

ছোটগল্প সংকলন

বইয়ের শিরোনামপ্রকাশকালপ্রকাশক
শীত অন্যান্য গল্পসেপ্টেম্বর ১৯৮৮জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
গল্পসমগ্রডিসেম্বর ১৯৯১কাকলী প্রকাশনী
নিশিকাব্যজুলাই ১৯৯২জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
শ্রেষ্ঠ গল্পডিসেম্বর ১৯৯২সময় প্রকাশন
ছোটদের সেরা গল্পফেব্রুয়ারি ১৯৯৫মাওলা ব্রাদার্স
জলকন্যাফেব্রুয়ারি ১৯৯৬সময় প্রকাশন
অদ্ভুত সব গল্পমে ১৯৯৬পার্ল পাবলিকেশন্স
আমার প্রিয় ভৌতিক গল্পজুলাই ১৯৯৭কাকলী প্রকাশনী
উদ্ভট গল্পফেব্রুয়ারি ১৯৯৯প্রতীক প্রকাশনী
আনন্দ বেদনার কাব্যফেব্রুয়ারি ২০০৮অন্যপ্রকাশ
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণফেব্রুয়ারি ২০০৯অন্যপ্রকাশ
প্রিয়পদরেখাফেব্রুয়ারি ২০০৯আফসার বাদ্রার্স
ছায়াসঙ্গীফেব্রুয়ারি ২০০৯অন্বেষা প্রকাশন
লীলাবতীর মৃত্যুফেব্রুয়ারি বইমেলা ২০১৪অন্যপ্রকাশ
সেরা দশ গল্পফেব্রুয়ারি ২০১৬অন্যপ্রকাশ

উপন্যাস সংকলন

বইয়ের শিরোনামপ্রকাশকালপ্রকাশক
মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাসসমগ্রফেব্রুয়ারি ১৯৮৯মাওলা ব্রাদার্স
সায়েন্স ফিকশান সমগ্র (১ম খণ্ড)ফেব্রুয়ারি বইমেলা ১৯৯০প্রতীক প্রকাশনী
উপন্যাস সমগ্র (১মখণ্ড)ফেব্রুয়ারি বইমেলা ১৯৯০প্রতীক প্রকাশনী
উপন্যাস সমগ্র (২য় খণ্ড)ফেব্রুয়ারি বইমেলা ১৯৯১প্রতীক প্রকাশনী
উপন্যাস সমগ্র (৩য় খণ্ড)ফেব্রুয়ারি বইমেলা ১৯৯২প্রতীক প্রকাশনী
স্বনির্বাচিত উপন্যাসজুন ১৯৯২কাকলী প্রকাশনী
কিশোর সমগ্রফেব্রুয়ারি ১৯৯৩কাকলী প্রকাশনী
উপন্যাস সমগ্র (৪র্থ খণ্ড)ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩প্রতীক প্রকাশনী
মিসির আলি অমনিবাসফেব্রুয়ারি ১৯৯৩প্রতীক প্রকাশনী
উপন্যাস সমগ্র (৫ম খণ্ড)জানুয়ারি ১৯৯৪প্রতীক প্রকাশনী
উপন্যাস সমগ্র (৬ষ্ঠ খণ্ড)ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪প্রতীক প্রকাশনী
বাদল দিনের প্রথম কদম ফুলফেব্রুয়ারি ১৯৯৪অনন্যা
ভৌতিক অমনিবাসজুন ১৯৯৪জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
উপন্যাস সমগ্র (৭ম খণ্ড)ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫প্রতীক প্রকাশনী
উপন্যাস সমগ্র (৮ম খণ্ড)জানুয়ারি ১৯৯৬প্রতীক প্রকাশনী
উপন্যাস সমগ্র (৯ম খণ্ড)ডিসেম্বর ১৯৯৬প্রতীক প্রকাশনী
উপন্যাস সমগ্র (১০মখণ্ড)ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮প্রতীক প্রকাশনী
নির্বাচিত সায়েন্স ফিকশন ফ্যান্টাসিফেব্রুয়ারি ১৯৯৮কাকলী প্রকাশনী
হুমায়ূন ৫০১৩ নভেম্বর ১৯৯৮সময় প্রকাশন
অদ্ভুত সব উপন্যাসফেব্রুয়ারি ১৯৯৯অন্যপ্রকাশ
জোৎস্নাত্রয়ীফেব্রুয়ারি ১৯৯৯অন্যপ্রকাশ
নির্বাচিত কিশোর উপন্যাসফেব্রুয়ারি ১৯৯৯অন্যপ্রকাশ
নির্বাচিত গল্পফেব্রুয়ারি ২০০০অন্যপ্রকাশ
হিমু অমনিবাসফেব্রুয়ারি ২০০০পার্ল পাবলিকেশন্স
দশটি উপন্যাসফেব্রুয়ারি ২০০১অনন্যা
হুমায়ূন আহমেদের হাতে ৫টি নীলপদ্মফেব্রুয়ারি ২০০১অন্যপ্রকাশ
৭০ দশকের ৫টি উপন্যাসজুলাই ২০০২অন্যপ্রকাশ
নির্বাচিত হিমুআগস্ট ২০০২অন্যপ্রকাশ
৮০ দশকের ৫টি উপন্যাসডিসেম্বর ২০০২অন্যপ্রকাশ
ভূতসমগ্র২০০২অন্যপ্রকাশ
নির্বাচিত হিমু২০০২অন্যপ্রকাশ
ভালোবেসে যদি সুখ নাহিফেব্রুয়ারি ২০০৩অনন্যা
৯০ দশকের ৫টি উপন্যাসফেব্রুয়ারি ২০০৪অন্যপ্রকাশ
শ্রেষ্ঠ প্রেমের উপন্যাসফেব্রুয়ারি ২০০৪অন্যপ্রকাশ
পঞ্চকন্যাফেব্রুয়ারি ২০০৫কাকলী প্রকাশনী
শ্রেষ্ঠ উপন্যাসফেব্রুয়ারি ২০০৫অনন্যা
মিসির আলি অমনিবাসফেব্রুয়ারি ২০০৬প্রতীক প্রকাশনী
হিমু সমগ্রডিসেম্বর ২০০৬অনন্যা
তিন বিচিত্রফেব্রুয়ারি ২০০৭অন্বেষা প্রকাশন
শ্রেষ্ঠ হিমুজুলাই ২০০৭কাকলী প্রকাশনী
অতিপ্রাকৃতফেব্রুয়ারি ২০০৮অন্বেষা প্রকাশন
জন্মদিনের উপহারফেব্রুয়ারি ২০০৮অনন্যা
শুভ্র সমগ্রফেব্রুয়ারি ২০০৮অনন্যা
মিসির আলি সমগ্রনভেম্বর ২০০৮অনন্যা
হুমায়ূন ৬০১৩ নভেম্বর ২০০৮অন্যপ্রকাশ
হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী১৩ নভেম্বর ২০০৮অন্যপ্রকাশ
হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী১৩ নভেম্বর ২০০৮অন্যপ্রকাশ
গল্পপঞ্চাশৎফেব্রুয়ারি ২০০৯অন্যপ্রকাশ
দশজনফেব্রুয়ারি ২০০৯অন্বেষা প্রকাশন
নির্বাচিত সায়েন্স ফিকশনফেব্রুয়ারি ২০০৯অন্যপ্রকাশ
নির্বাচিত ভূতের গল্পফেব্রুয়ারি ২০০৯অনন্যা
প্রিয় ভয়ংকরফেব্রুয়ারি ২০০৯কাকলী প্রকাশনী
বিরহগাঁথা ফেব্রুয়ারি ২০০৯সাগর পাবলিশার্স
বিরহগাঁথা ফেব্রুয়ারি ২০০৯সাগর পাবলিশার্স
বিরহগাঁথা ফেব্রুয়ারি ২০০৯সাগর পাবলিশার্স
সায়েন্স ফিকশন সমগ্রফেব্রুয়ারি ২০০৯অন্বেষা প্রকাশন
উপন্যাস সমগ্র (১১তম খণ্ড)ফেব্রুয়ারি ২০১০প্রতীক প্রকাশনী
হুমায়ূন আহমেদর রচনাবলীফেব্রুয়ারি ২০১০অন্যপ্রকাশ
হুমায়ূন আহমেদর রচনাবলীনভেম্বর ২০১০অন্যপ্রকাশ
সেরা হুমায়ূননভেম্বর ২০১০অনন্যা
১৯০১১৯৭১ সেই সময়ফেব্রুয়ারি ২০১১অন্যপ্রকাশ
উপন্যাস সমগ্র (১২ম খণ্ড)ফেব্রুয়ারি ২০১১প্রতীক প্রকাশনী
উপন্যাস ত্রয়ীফেব্রুয়ারি ২০১২জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলীমার্চ ২০১২অন্যপ্রকাশ
হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী২০১২অন্যপ্রকাশ
হিমু সমগ্রনভেম্বর ২০১২অনন্যা
হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী২০১২অন্যপ্রকাশ
আত্মজৈবনিক রচনাসমগ্রফেব্রুয়ারি ২০১৩প্রতীক প্রকাশনী
মিসির আলি অমনিবাসফেব্রুয়ারি ২০১৩প্রতীক প্রকাশনী
মিসির আলি সমগ্রফেব্রুয়ারি ২০১৩অনন্যা
হিমু দশনভেম্বর ২০১৩অন্যপ্রকাশ
হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী২০১৪অন্যপ্রকাশ
উপন্যাস সমগ্র (১৩তম খণ্ড)ফেব্রুয়ারি ২০১৫প্রতীক প্রকাশনী
প্রথমফেব্রুয়ারি ২০১৫ন্বেষা প্রকাশন
তিনকণ্যাফেব্রুয়ারি ২০১৬অবসর প্রকাশনা সংস্থা
দ্বীপফেব্রুয়ারি ২০১৬অনুপম প্রকাশনী
হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী২০১৬অন্যপ্রকাশ
হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী১০২০১৬অন্যপ্রকাশ
সেরা পাঁচ হিমুফেব্রুয়ারি ২০১৭তাম্রলিপি
সেরা পাঁচ মিসির আলী২০১৬তাম্রলিপি
শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক উপন্যাস২০১৬অনুপম প্রকাশনী
অদেখা ভুবনফেব্রুয়ারি ২০১৭পার্ল পাবলিকেশন্স
উপন্যাস সমগ্র (১৪তম খণ্ড)ফেব্রুয়ারি ২০১৭প্রতীক প্রকাশনী
চন্দ্রসখাফেব্রুয়ারি ২০১৭অন্বেষা প্রকাশন
বৃষ্টি বসন্তবিলাসফেব্রুয়ারি ২০১৭আফসার বাদ্রার্স
মিসির আলি দশফেব্রুয়ারি ২০১৭অন্যপ্রকাশ
শ্রেষ্ঠ মিসির আলিফেব্রুয়ারি ২০১৭কাকলী প্রকাশনী
সেরা সাত হিমুফেব্রুয়ারি ২০১৭অবসর প্রকাশনা সংস্থা
সেরা সাত প্রেমের উপন্যাসফেব্রুয়ারি ২০১৭অবসর প্রকাশনা সংস্থা
সেরা সাত মিসির আলিফেব্রুয়ারি ২০১৭অবসর প্রকাশনা সংস্থা
সেরা পাঁচ ভৌতিক উপন্যাসফেব্রুয়ারি ২০১৭তাম্রলিপি
সেরা পাঁচ মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাসফেব্রুয়ারি ২০১৭তাম্রলিপি
সেরা পাঁচ প্রেমের উপন্যাসফেব্রুয়ারি ২০১৭তাম্রলিপি
মিসির আলির গল্পমালা২০১৭অনন্যা
তিন ভিনদেশি২০১৭অবসর প্রকাশনা সংস্থা
উপন্যাস সমগ্র (১৫তম খণ্ড)ফেব্রুয়ারি ২০২০প্রতীক প্রকাশনী
উপন্যাস সমগ্র (১৬তম খণ্ড)ফেব্রুয়ারি ২০২০প্রতীক প্রকাশনী
এই নগরে হিমু২০২০অনুপম প্রকাশনী

অন্যান্য

বইয়ের শিরোনামপ্রকাশকালপ্রকাশক
বৃক্ষকথাফেব্রুয়ারি ২০০৯অন্যপ্রকাশ

ইংরেজিতে অনূদিত

বইয়ের শিরোনামপ্রকাশকালপ্রকাশক
In Blissful Hell

মূল: হুমায়ূন আহমেদ (নন্দিত নরকে)

এপ্রিল ১৯৯৩সময় প্রকাশন
A Few Youths In The Moon

মূল: হুমায়ূন আহমেদ (চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক)

ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫সময় প্রকাশন
Ants & Other Storiesফেব্রুয়ারি ১৯৯৬মাওলা ব্রাদার্স
Love You All

মূল: হুমায়ূন আহমেদ (তোমাদের জন্য ভালোবাসা)

অনুবাদ: শফিকুর রহমান

ফেব্রুয়ারি ২০০৪প্রতীক প্রকাশনী
To the woods Dark & Deep

মূল: হুমায়ূন আহমেদ (সবাই গেছে বনে)

অনুবাদ: ফারিহা সুলতানা

ফেব্রুয়ারি ২০০৭অন্যপ্রকাশ
Gouripur Junction

মূল: হুমায়ূন আহমেদ (গৌরিপুর জংশন)

অনুবাদ: শফিক-উল-করিম

ফেব্রুয়ারি ২০০৭অন্যপ্রকাশ
Equation Fiha

মূল: হুমায়ূন আহমেদ (ফিহা সমীকরণ)

অনুবাদ: নুহাশ হুমায়ুন

ফেব্রুয়ারি ২০০৭অন্যপ্রকাশ

অন্যান্য ভাষায় অনূদিত

বইয়ের শিরোনামপ্রকাশকালপ্রকাশক
গৌরীপুর জংশন (হিন্দি অনুবাদ)ফেব্রুয়ারি ২০০৮অন্যপ্রকাশ
গৌরীপুর জংশন (জার্মান অনুবাদ)ফেব্রুয়ারি ২০০৮অন্যপ্রকাশ

অসমাপ্ত রচনা

বইয়ের শিরোনামপ্রকাশকালপ্রকাশক
নবীজি(২০১২)অসমাপ্ত